জীবনে চলার পথে আমরা সবাই কোনো না কোনো সময় বিভ্রান্ত হই, থেমে যাই কিংবা ভুল পথে পা বাড়াই। সেই সময়ে সবচেয়ে বড় শক্তি হতে পারে একজন বিজ্ঞ মানুষের দেওয়া সঠিক উপদেশ। উপদেশ আমাদের চোখ খুলে দেয়, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে এবং জীবনকে আরও অর্থবহ করে তোলে।
এখানে তুলে ধরা হলো উপদেশ নিয়ে মনীষীদের কিছু মূল্যবান বাণী, যা আমাদের জীবনের পথকে আলোকিত করতে পারে।
আশার আলো: মনীষীদের অনুপ্রেরণামূলক বাণী
—
যে যতটুকু অভিজ্ঞতাসম্পন্ন,তদপেক্ষা বেশি উপদেশ দিতে যাওয়া তার পক্ষে অনুচিত। -হযরত আলী (রাঃ)
যাহা তুমি স্বয়ং করোনা বা করিতে পার না, অন্যকে করিতে উপদেশ দিও না। – হযরত আলী রাঃ
যে তোমার উপদেশ শুনিতে চাহে তাকে ছাড়া আর কাহাকেও উপদেশ দিও না। -হযরত আলী রাঃ
বহুদর্শিতার মতো উপদেশ আর নেই,যে ব্যাক্তি স্বয়ং ঠেকে শিখেছে তার কাছে শিক্ষা করো। -হযরত আলী রাঃ
অযাচিত উপদেশ দিতে নাই। -জার্মান প্রবাদ
পাপীকে ঘৃনা করো না,কিন্তু পাপকে ঘৃনা করো। ভিতুকে সাহস দাও দুর্বৃত্তকে এড়িয়ে চল জ্ঞনীর সঙ্গে কাজ কর। -হুটম্যান
যে উপদেশই দাও তা যেনো খুব ছোট হয়। -হোরেস
বিয়ে করার জন্য বা যুদ্ধে যাওয়ার জন্য কাওকে উপদেশ দিও না। -স্পেনীয় প্রবাদ
সংকটে পতিত হলে সংকট অতিক্রমকারীদের পরামর্শ গ্রহন করো। -নিকোলাস মুলার
যে সমস্যাজরিত কখনো তার উপদেশ গ্রহন করো না-
সংযত হও,কিন্তু নির্ভীক হও,সরল হও কিন্তু বোকা হয়ো না।বিনীত হও তাই বলে দূর্বল -হৃদয় হয়ো না।-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
যে ব্যাক্তি অন্যকে সৎকর্মের আর নিজে সৎকর্ম করে না সে ব্যাক্তি মর্শালবাহী অন্ধের ন্যায় অন্যে তার দ্বারা পথ দেখে কিন্তু নিজে দেখতে পায় না। -প্লেটো
উপদেশ কদাচিৎ সমাদর পেয়ে থাকে;যাদের উপদেশ খুব প্রয়োজন তারাও তা অপছন্দ করে থাকে। -জনসন
জীবন সম্পর্কে মনীষীদের ২৫টি বাণী
এমনভাবে উপদেশ দাও, যাতে বন্ধুকে তুস্ট নয় সাহায্য করতে পারো। – সলন
প্রাচুর্যের মাঝে থাকাকালে দুঃখীদের প্রতি উপদেশ দেয়া খুবই সহজ – এসকাইলাস
সদুপদেশ গ্রহন করার অর্থ হল নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি। -গোদি
সৎ উপদেশকে টাকার মূল্যে পরিশোধ করা যায় না। – ইরাসমুস
উপসংহার
ভালো উপদেশ কখনও শুধু কথা নয়, বরং জীবনের জন্য এক একটি আলোর দিশা। মনীষীদের এসব বাণী আমাদের মনে করিয়ে দেয়—সঠিক সময়ে সঠিক কথা মানুষকে পাল্টে দিতে পারে। তাই আমরা যেন শুধু উপদেশ গ্রহণই না করি, বরং প্রয়োগেও মনোযোগ দিই।




