শীতল রক্তের প্রাণী, তাই বাইরের তাপমাত্রা পরিবর্তিত হলে তারাও দেহের তাপমাত্রা পাল্টে ফেলে। কিন্তু মানুষ উষ্ণ রক্তের প্রাণী—অর্থাৎ আমাদের শরীর সবসময় নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ধরে রাখতে চায়।
যখন বাইরের পরিবেশ অতি গরম হয়, তখন দেহ থেকে জলীয় বাষ্প বের হতে শুরু করে ঘামের মাধ্যমে। এই ঘাম বাতাসে মিলিয়ে গেলে শমানবদেহে ঘাম একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আমাদের শরীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না মাছের মতো। মাছ রীর ঠান্ডা হয়। কিন্তু বাতাসে যদি আর্দ্রতা বেশি থাকে, তখন ঘাম সহজে শুকায় না, ফলে আমরা অস্বস্তি ও অতিরিক্ত গরম অনুভব করি।
যে অ্যাসিড আমরা অজান্তেই খাই
ঘামার প্রক্রিয়া
শরীর গরম হলে ত্বকের রক্তনালী প্রসারিত হয়। তখন ঘর্মগ্রন্থি সক্রিয় হয়ে পানি ও লবণ বের করে দেয়। ঘাম বাষ্পীভূত হওয়ার সময় তাপ শোষণ করে শরীরকে ঠান্ডা করে।
তাই গরমে বেশি ঘামলে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের পিপাসা পায়, কারণ শরীর হারানো পানির ঘাটতি পূরণ করতে চায়।
শীতে কেন ঘাম হয় না
শীতকালে বাইরের তাপমাত্রা কম থাকে। তখন শরীর তাপ বের হতে না দেওয়ার চেষ্টা করে। তাই ঘর্মগ্রন্থি প্রায় কাজ করে না। শরীরকে গরম রাখতে মোটা কাপড় ব্যবহার করি। এই সময় অতিরিক্ত পানি খেলে তা প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়।
যেভাবে জানা গেল পৃথিবীর বয়স
পাখি ও বাঘ কেন ঘামে না
সব প্রাণীর অভিযোজন ক্ষমতা এক নয়। পাখি বা বাঘের শরীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। তারা জিহ্বা বের করে হাঁপানো, শরীর মাটিতে ঠেকানো বা বিশেষভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গরম কমায়। তাই তাদের ঘাম ঝরাতে হয় না।
উপসংহার
মানুষের শরীরে ঘাম হলো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়। তবে অন্য প্রাণীরা ভিন্ন ভিন্ন অভিযোজন ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়। ফলে মানুষ গরমে ঘামে, কিন্তু পাখি বা বাঘ ঘামে না।




